ভোটের রাজনীতিতে হেরে যাবার ভয়ে বিএনপি দেশের উন্নয়ন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রবিবার নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
শেখ হাসিনা সরকার নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চেয়ে বলেন, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, গভীর সমুদ্র বন্দর, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এক্সপ্রেসওয়ে, ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সমুদ্র বিজয়, সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান-এসব করে কি সরকার দেশের ক্ষতি করেছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে এতসব উন্নয়ন ও অর্জনে দেশের ক্ষতি হয়নি, ক্ষতি হয়েছে বিএনপির। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনে বাংলাদেশের মর্যাদা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিএনপির রাজনীতিতে সংকটের কালো ছায়া ফেলেছে বলেও জানান তিনি।
ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে বিএনপিকে নির্বাচন প্রতিরোধ ও প্রতিহতের ঘোষণা না দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাবার ষড়যন্ত্র পরিহার করুন এবং আগামী নির্বাচনে জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় যাবে আর কে যাবে না।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আরো বলেন, আপনাদের কাউকে সরিয়ে দিতে হবে না, জনগণ না চাইলে নির্বাচনই ঠিক করবে কে সরবে আর কে সরবে না।
রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সংখ্যালঘু নির্যাতনে এদেশে বিএনপিই চ্যাম্পিয়ন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতা আসার পর তারা নির্যাতনের যে রেকর্ড স্থাপন করেছে, যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল জনগণ তা এখনো ভুলে যায়নি।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি কখনো ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিএনপিকে ভোট দেইনি-এ অভিযোগে বিএনপি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েছিল, নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মুসলিম উম্মাহর কাছে আজকের এই দিনটি অত্যন্ত পবিত্র, এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন মানবজাতির শিরোমণি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
তিনি পবিত্র এই দিনে সকলকে মহানবী (সা.) এর জীবন আদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানব কল্যাণে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানান।