দেশে নিত্যপণ্য-গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টার প্রতিবাদে গণমিছিল করেছে ভাসানী অনুসারী পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ গণজমায়েত ও গণমিছিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। গণমিছিলের আগে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে তিনি হুইলচেয়ারে করে মিছিলে অংশ নেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সব কাজই দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সার্বিক কী অবস্থা বিরাজ করছে তা জনগণ দেখছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বর্তমান সরকারের কী অবস্থা হবে তা আপনাদের জানা আছে।’
জেএসডির সভাপতি আ স ম রব বলেন, ‘আজ ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ চলছে। এই সরকার গরিব দুঃখীদের দেখে না। যখন দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা, তখন তারা আতশবাজি, বেলুন ফোটায়। আপনাদের বলি, ক্ষমতা ছেড়ে তো যেতে হবেই, তাই এখনও সময় আছে, ঠিক করুন সম্মানের সঙ্গে না কীভাবে ক্ষমতা ছেড়ে যাবেন। গরিব, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তদের ন্যায্যমূল্যে ভাত দেন, রুটি দেন; না হলে গদি ছেড়ে দেন।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাধারণ জনগণের কোনও তোয়াক্কা করে না; অন্যদিকে এক মন্ত্রী বলেন দাম বাড়লে কী হয়েছে, সাধারণ মানুষের কেনার ক্ষমতা তিন গুন বেড়েছে। সাধারণ মানুষের উচিত, এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে হরতাল পালন করা।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘দেশের বর্তমান যে অবস্থা এতে করে আমাদের সবাইকে মিলে দেশকে বাঁচাতে হবে, এই সরকারকে হটাতে হবে। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু বলতে হচ্ছে, এমন দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করিনি।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫ টাকার জিনিস ৫০ টাকা হয়ে যায়। জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে এর মাধ্যমে সরাসরি জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য যত বাড়ে ভ্যাট-ট্যাক্স তত বাড়ে। সরকারের কোষাগারে টাকা জমা হয়। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করতে সুবিধা হয় সরকারের লোকদের, নিজেদের পকেট ভরতে পারে তারা। এসব অন্যায় অবিচার বর্তমান সরকার চালাতে পারছে, কারণ জনগণকে তারা তোয়াক্কা করে না।’
গণজামায়েত ও সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে সামনের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।