English

21 C
Dhaka
বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০২৪
- Advertisement -

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনেও ৭ই মার্চের ভাষণ প্রেরণা যোগাবে: যু্ব ও ক্রীড়া মন্ত্রী

- Advertisements -

যু্ব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান বলেছেন, ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে বজ্রকন্ঠে রচনা করেন ১৮ মিনিটের এক মহাকাব্য।

এটি শুধুমাত্র একটি ভাষন ছিলো না, সুদীর্ঘকাল ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ একটি নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত জাতির মুক্তির মন্ত্র ছিলো। হাজার বছরের শৃঙ্খল ভাঙার মুক্তির গান ছিলো। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস । একটি ভাষণ কীভাবে সমগ্র জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।

তিনি আজ সকালে সাভারে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য সম্মান ও গৌরবের স্মারক। আমি বিশ্বাস করি, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক এ ভাষণ আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরানিত করবে। এ ভাষণ ২০৪১ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত সমৃদ্ধ ” স্মার্ট বাংলাদেশ” গঠনে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমি যুবসমাজকে ৭ মার্চের ভাষণকে মন ও মননে ধারন করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ” গঠনে আত্ননিয়োগ করার উদাত্ত আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, সাতই মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিমশাল, যা প্রজ্জ্বলিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দাবানল, যার সামনে টিকতে পারেনি হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ঐতিহাসিক এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এ ভাষণের মধ্যে দিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু । তিনি একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

এর পূর্বে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউট আয়োজিত যুব সমাবেশ ২০২৪ যোগদান করেন। যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ অত্যন্ত মেধাবী। তাদের অসীম সাহস ও সম্ভাবনা রয়েছে। তারা পারে না, এমন কিছু নেই। তারা বিশ্বাস করে, অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমি নতুন প্রজন্মকে নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। এই যুবসমাজই পারবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে করতে। যুবসমাজকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তরুণদেন প্রতিভা বিকাশের উপযোগী পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার। এ সময়ে মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন