English

23 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

- Advertisements -

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ অর্ধযুগ পর সশরীরে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফর করেছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৪৩ মিনিটে তিনি সেনাকুঞ্জে পৌঁছান। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে তার গাড়িবহর সেনাকুঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে।

খালেদা জিয়ার গাড়িতে সঙ্গে ছিলেন তার কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং গৃহকর্মী ফাতেমা। বহরে অন্য গাড়িতে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান সস্ত্রীক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।

খালেদা জিয়া সবশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তখন তিনি বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। এরপর আর কখনো তাকে সেনাকুঞ্জের এ আয়োজনে দেখা যায়নি। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর তাকে আর আমন্ত্রণও জানানো হয়নি।

খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও সেনানিবাসের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির মোট ২৬ জন নেতা আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

একসময় দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দুজনেই এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। রাজনীতির মাঠে বৈরিতা থাকলেও এ অনুষ্ঠান ঘিরে বছরে অন্তত একবার তাদের মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনা তৈরি হতো। তবে ২০১২ সালে দুই নেত্রীই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও তাদের মধ্যে কথা হয়নি।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। ফলে অনেক বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতিকে এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে দেখা যাবে না।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রতিবছর দিনটি ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বাংলাদেশ।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৪টায় সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি থাকবেন।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন