সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সুখী, সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নিজেদের জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাও সে লক্ষ্য অর্জনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
যে কারণে সম্প্রতি বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। কিন্তু হেফাজতে ইসলামসহ একটি সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী এ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াতে চেষ্টা করছে। এ সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ রুখতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে রাজধানীর মিরপুরস্থ বিজয় রাকিন সিটিতে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতি’ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে তাঁদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আসছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই প্রথম মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান শুরু করা হয় যা বর্তমানে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। সে ধরণেরই একটি পদক্ষেপের সফল বাস্তবায়ন ‘বিজয় রাকিন সিটি’ যা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের যুগোপযোগী, আধুনিক ও মানসম্পন্ন আবাসন নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।
মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ. টি. আহমেদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব ও সাবেক প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরী এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোর্শেদুল আলম।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২১’ এর গ্রন্থ উন্মোচন মঞ্চে কবি ইসলাম সাইফুলের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘নোনা জলে ধুয়ে দেখি অন্য ছবি গোপনে গোপনে’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।