রাজধানীতে কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, বিএনপির এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। বৈশ্বিক মহামারি করোনার এই মানবিক সংকটের ভেতরেও তারা ধারাবাহিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।’
আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের সন্ত্রাসী চরিত্রের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। নিরীহ মানুষের জীবন সম্পদহানির মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটের অপচেষ্টা চালানো তাদের পুরানো অভ্যাস।’
ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ হওয়ায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচন এলেই বিএনপি হইচই করে মাঠ গরম করে, অথচ ভোটের দিন তাদের আর মাঠে দেখা যায় না। ভোট গণনা শেষে জণগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হলে বিএনপি নেতারা বলে সরকার কারচুপি করে হারিয়ে দিয়েছে। এটি তাদের পুরানো অভ্যাস।’
কুমিল্লা ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে তারা জিতলো, তারপর বলল যে আরও বেশি ভোটে জিততাম, যদি সরকারি দল কারচুপি না করত। সিলেটের বেলাতেও একই বক্তব্য। তারা জিতলে বলে আরও বেশি ভোটে জিততাম আর হারলে বলে সরকার হারিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন হারিয়ে দিয়েছে। এই হচ্ছে অবস্থা।’
নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোথায় কারচুপি হয়েছে একটা উদাহরণ দেন। এই নির্জলা মিথ্যাচারের রাজনীতি অপরাজনীতি কবে তারা পরিত্যাগ করবে? আর যতদিন তারা করবে না ততদিন তারা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে। এরাই তো সেই দল যারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বলেছিল শেখ হাসিনা নিজেই নিজের ভ্যানিটি ব্যাগে বোমা নিয়ে গেছে সমাবেশে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা-১৮ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিব হাসানসহ আরও অনেকে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন