বিরোধীদের ওপর বুলডোজার চালানোর পর নজিরবিহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাবন্দী। মির্জা ফখরুলসহ বহু নেতাকর্মী অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে। কয়েক সপ্তাহে কারাহেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ।
তিনি বলেন, গোটা বাংলাদেশ এখন একজনের হাতে জিম্মি। উত্তর কোরিয়া মডেলের এই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। কারা জয়ী হবে সেটিও পূর্বনির্ধারিত ছিল। ২৮ পারসেন্ট থেকে ৪১ পারসেন্ট ভোট কাউন্ট করার ফর্মুলাও তার (শেখ হাসিনা)।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিশ্বের প্রায় সব মানবাধিকার সংগঠন, অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী সিনেটরসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা এই নির্বাচন বাতিল করে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ডামি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে থেকে নির্বাচনের নামে যে সংসদের জন্ম দিয়েছেন, আগামীতে জনগণের ভোটে জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক সরকার গঠিত হলে জনগণের কাছে প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, সংবিধান অনুযায়ী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়নি। বাংলাদেশের জনগণ, নর্থ কোরিয়া স্টাইলের নির্বাচন আর একদলীয় গণতন্ত্র চায় না। এর বিরুদ্ধে এখনই শক্তহাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা না গেলে, শুধু দেশের জনগণকেই নয় ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক বিশ্বকেও হয়তো চড়া মূল্য দিতে হতে পারে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের আন্দোলন থামবে না। এর স্রোতধারা আরও বেগবান করে মাফিয়া ফ্যাসিষ্টদের পতন ঘটানো হবে।