বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মানবাধিকারের কবর রচনা করতেই নিশিরাতের সরকার দেশের আইন-আদালতকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। এমনকি তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান-যিনি রাজনীতির সঙ্গে বিন্দুমাত্র যুক্ত নন তাঁর বিরুদ্ধেও কাল্পনিক মামলা দিয়ে এখনো চালু রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বলেছেন ‘মেগা প্রকল্প নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে’। বাস্তবতা হলো-বিভ্রান্তি নয়, অভিনব দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত মেগা প্রকল্প নিয়ে সত্য কথাই আজ দেশ-বিদেশে বলাবলি হচ্ছে। এই মেগা প্রকল্পের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা যে লুটপাট হচ্ছে তা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলংকার মতোই ধাপে ধাপে দেউলিয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
রিজভী মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট প্রসঙ্গে বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের ২০২১ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গুম, খুন অপহরণ করে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে গণতন্ত্রকামী জনগণের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে কিংবা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করে দেশের জনগণের কাছে তাদের অপকর্ম আড়াল করতে চাইলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশিত বাংলাদেশের মানবাধিকার রিপোর্টে দেখা যায় কোনো অপকর্মই সরকার আড়াল করতে পারেনি। হাজার হাজার ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেও আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের বিভিষিকা আড়াল করা যায়নি।
তিনি বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে-২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বাক্সভর্তি জালভোট, বিরোধী পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানোসহ নানা অনিয়ম ছিল ওই নির্বাচনে। পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে স্বীকৃতি দেয়নি। সুতরাং বেগম জিয়া ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতিহিংসার শিকার বলেও জানান তিনি।