শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথার মুক্তমঞ্চে খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘হাসিনা রাজনীতি করেছে তার পিতার হত্যার বিচার করতে। বিচারের নামে নিরীহ জনগণকে ফাঁসানো হয়েছে। হাসিনা দেশ থেকে লাখ-কোটি টাকা পাচার করেছে।
সে টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। হাসিনার মতো আওয়ামী লীগের নেতাদেরও বিচার করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সীমান্তে নিরীহ মানুষকে হত্যার বিচার করতে হবে। নতুন স্বাধীনতা ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মাওলানা এহসানুল হকের সভাপতিত্বে শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত এ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা ও মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতি শফি কাসেমী, মুফতি মনোয়ার হোসেন, মুফতি মামুন রহমানী, মুফতি সালাহুদ্দিন মাসউদ, হাফেজ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
গণসমাবেশে মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা মানসিক বিকারগ্রস্থ। আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন এই কারণে যে একজন মানসিক রোগীকে এত বছর তাদের কাঁধের ওপর রেখে দিয়েছিল। মেগাপ্রকল্পের নামে মেগাদুর্নীতি করেছে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, দেশ রক্ষায় বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতসহ সব ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ঐক্যবদ্ধ শক্তি ইসলামী শাসন কয়েক বছর করবে। সব ধর্ম, বর্নের মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা হবে।
মামুনুল হক বলেছেন, ৫ আগস্টের পরে জালিম ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বাংলার জমিনে এক ইঞ্চি মাটি আশ্রয়ের জন্য খুঁজে পায়নি। তাই তার (শেখ হাসিনা) পরম বন্ধু নরেন্দ্র মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছে।
ভারত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছর আপনারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে এক চুল পরিমাণ চিন্তা করেননি। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি নদীর মুখে অভিন্ন বাঁধ তৈরি করেছেন। শুকনা মৌসুমে মরুভূমি আর বর্ষা মৌসুমে বানের পানি দিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছেন। আপনাদের কেনা গোলাম শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন। এখন বলব শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান। বাংলাদেশের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমাদের পক্ষ থেকে সমতার ভিত্তিতে সদাচরণ পাবেন।’