বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই জাতির সামনে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা উপস্থাপন করবে বিএনপি।
তিনি বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকার নিয়ে আরও সুস্পষ্টভাবে কথা বলবো। নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দেওয়ার জন্য আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করছি। দেশে যারা সংবিধান বিশেষজ্ঞ আছেন বা আইনজীবী আছেন, তারা তাদের মতো করে মতামতগুলো দেবেন। সেখান থেকে একটা ভালো জিনিস বের হয়ে আসবে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ যা চাইবে নিবার্চকালীন সরকারের রূপরেখার মধ্যে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখনো বলছি, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যবস্থা করা হোক। তবে নির্বাচনের আগে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। এটা খুবই জরুরি। কারণ এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে কোনো ভাবেই দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঈদের পরে আন্দোলন আরও জোরদার ও বেগবান হবে। যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, মানুষকে বোকা বানিয়ে ভুল বুঝিয়ে তারা এই ধরনের মিথ্যাচার করে চলেছে। তারা বলে-আমাদের অর্থনীতি খুব ভালো আছে। অথচ প্রত্যেক অর্থনীতিবিদ বলবেন দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে এবং এই সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ ধরনের। কোন দিক থেকে বলবো, রিজার্ভ একেবারে কমে গেছে, আমদানি করতে পারছে না। ব্যাংকগুলো থেকে অর্থপাচার হয়ে গেছে। অর্থনীতিতে এই সংকট সমাধান করার কোনো ব্যবস্থায় সরকার গ্রহণ করেনি। উপরন্তু আমরা দেখলাম ব্যাংকের ডিরেক্টরদেরকে ১২ বছর করে মেয়াদ বাড়িয়েছে। যা প্রস্তাবেও ছিল না। কার হুমকিতে, কার হুকুমে এই দেশ কিভাবে চলে আমরা জানি না।
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় আসার পর দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সাময়িকভাবে ভালো আছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর তিনি ভালো আছেন। যে সমস্যাগুলো নিয়ে গিয়েছিলেন, সেসবের সমাধান হয়েছে।
এর আগে রবিবার রাতে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মির্জা ফখরুল।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কিন্তু ওনার মূল সমস্যাগুলোর সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা তো নেই। লিভার সিরোসিস ছাড়াও তার আর্থ্রাইটিস ও হার্টের সমস্যা আছে। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন-দেশের বাইরে বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা দরকার, কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। এই কারণে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।