শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘১৭ অক্টোবর কেন? আজকেই খুলে দিন। নাহলে সারাদেশের লাখো ছাত্র রাস্তায় নেমে আসবে। অবিলম্বে যদি আমরা জবাব না পাই তাহলে সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ঐক্য ফোরাম আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তবে তিনি আন্দোলনের তারিখ ঘোষণা করেননি।
মান্না বলেন, ‘দেশের সব ছাত্র সংগঠন, সব শিক্ষক সমাজ, অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলছেন। অভিভাবকদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে তাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করে না। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকে, কী করে জানা যায় না। তাদের মন-মেজাজ ভারো না। তাদের সাথে কথা বলা যায় না। এতে কিশোর শিক্ষার্থীরা বিপথে চলে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে আসছি। আমি বলছি, আজকে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। তালিবালি করে লাভ নাই। সরকার বলছে, টিকা দিয়ে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। টিকা তো দিচ্ছেন না। টিকা আপনাদের কাছে নেই।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘সরকার বলল- গণটিকা দেবে, একদিন নাটক করার পর বলল টিকা আমাদের কাছে নেই। দুনিয়ার সব বড় বড় টিকা উৎপাদনের প্রতিষ্ঠান বলছে- বিক্রি করার মতো টিকা আমাদের কাছে নেই। তাহলে সরকার টিকা পাবে কোত্থেকে?’
তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় ছেপেছে- সরকার সারাদেশে শতকরা মাত্র ৪ জন লোককে দুই ডোজ টিকা দিতে পেরেছে। আবার কবে থেকে টিকা দেবে তার কোনো খবর নেই। তাই ওই ধান্ধা বাদ দিয়ে আজকে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিন। আসলে আন্দোলনের ভয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। সারাদেশের লোক ছিঃছিঃ করছে।’
‘এক মন্ত্রী বলেছেন ওপর থেকে তাকালে নাকি বাংলাদেশকে লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো দেখা যায়। আমি বলছি- লস অ্যাঞ্জেলেস নয় ‘লস্ট বাংলাদেশ’ দেখা যায়। সারাদেশে ২ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে। সব জিনিসের দাম বেড়েছে’,- বলেন মান্না।