বিএনপি সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা সব সময় সরকারের পতন কামনা করেন। কিন্তু শকুনের দোয়ায় যেমন গরু মরে না, তেমনি বিএনপির দোয়ায়ও সরকারের পতন হবে না।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন, আন্দোলনে এই সরকারের পতন হবে।
গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি মহাসচিব তাদের হতাশ নেতাকর্মীদের চাঙা করতে এমনটা বলে আসছেন। সরকার পতনের লক্ষ্যে তারা কখনো শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন, কখনো ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলন এবং কখনো শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করেছেন। কিন্তু সরকারের পতন ঘটাতে পারেননি তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই সংকট মোকাবেলায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশই এই সংকট মোকাবেলা করছে এবং আগামীতে এই সংকট গভীরতর হলে তা কিভাবে মোকাবেলা করবে তার দিশা খুঁজছে। বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন- বিশ্বের সব দেশের প্রধানমন্ত্রীই কি তাহলে পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশ তো বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। বিশ্বব্যাপী এ সংকট আমাদের সৃষ্ট না হলেও তার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়েছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আগামী বছর থেকে বিশ্বমন্দার আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী বলেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন এবং বেশি বেশি খাদ্য উৎপাদনের কথা বলেছেন। কিন্তু অপরিণামদর্শী বিএনপি নেতারা বৈশ্বিক সংকটের বাস্তবতা অনুধাবন না করেই গলার জোরে কথা বলছেন এবং জনগণের কষ্টকে পুঁজি করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছেন।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ ঘোষণা করায় নাকি বড় সর্বনাশ হয়েছে। জনগণের বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নাকি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব হয়তো জানেন না, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, কোরিয়া, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহ চিহ্নিত করা আছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হচ্ছে সরকার কর্তৃক ঘোষিত এইরূপ কোনো বাহ্যিক বা ভার্চুয়াল তথ্য পরিকাঠামো, যা কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কোনো ইলেকট্রনিক তথ্য নিয়ন্ত্রণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চরণ বা সংরক্ষণ করে এবং যা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংকটাপন্ন হলে জননিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা বা রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং উক্ত পরিকাঠামোসমূহের নিরাপত্তা সামান্য বিঘ্নিত হলে তা রাষ্ট্র ও জনগণেরই ক্ষতির কারণ হবে। এর সঙ্গে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তিসংক্রান্ত অধিকার ব্যাঘাত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।