সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করে তা নিয়ে কাজ করার মতো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি বলে মনে করছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি থাকায় এসব নিয়ে প্রতিকারও পাওয়া যায় না। একটি দেশে আইনের শাসন আছে কি না, তা বোঝা যায় সে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দেখে। সড়কের অনিয়মগুলো রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় হয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ওভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক ও চালকদের মানসিক উদ্বেগ। আমাদের দেশে এই বিষয়গুলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমাধানের কোনো অথরিটি নাই। সরকারের অনেক বিভাগ আছে, তাদের অনেক কাজ আছে, কিন্তু পদক্ষেপ নেই।
যে দেশে ট্রাফিক সিস্টেম যত ভালো, সেসব দেশে আইনের শাসন তত ভালো। আমাদের দেশে যেখানে সেখানে পার্কিং, ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো- এসব অনিয়ম মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এসব অনিয়ম ঘটছে।
হরতাল অবরোধের সময় পরিবহন সেক্টরের সিন্ডিকেট সরকারের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর ব্যক্তির হাত বদল হয়েছে, সিস্টেমের পরিবর্তন হয়নি। দুর্নীতি-চাঁদাবাজি চলছেই। এখন অন্যরা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন সিনেমার হিরো ছিলেন, এখন তিনি বাস্তবের নায়ক। শাহজাহান খানরা সিন্ডিকেট করে লাইসেন্স দিয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এজন্য লাঞ্ছিত হয়েছেন, অপমানিত হয়েছেন। গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার চেহারা পাল্টানোর সুযোগ এসেছে। রাজনীতিবিদদের চেহারা আমরা দেখেছি। বিরোধী দলে গেলে কি বলে, আর সরকার গেলে কি বলে?
নিরাপদ সড়ক চাই’র চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।