শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বাগদান সম্পন্ন করেছেন। গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) একটি ফিটনেস সেন্টারে ৫৫ বছর বয়সে আংটি বদল করেন তিনি। কনে হলেন সোহেল তাজের ইনস্পায়ার ফিটনেস সেন্টারের ট্রেইনার শিমু।
সোহেল তাজের বাগদান সম্পন্নের খবর জানাজানির পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।সম্প্রতি সোহেল তাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে কয়েকটি স্ক্রিনশট পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
একটি স্ক্রিনশটে রিতা রয় মিতু নামের একজনের একটি স্ট্যাটাস দেখা যায়। তাতে লেখা, ‘‘কয়দিন আগে সাংবাদিক রুদ্র সাইফুলের লেখা বডি তাজের ‘বিয়ানামা’ শেয়ার কইরা বিপদে পড়ছি। আমি জানিও না, এই পোস্ট এতো শেয়ার হয়েছে কখন।আমি তো প্রতিদিনই ফেসবুকে হাজার পোস্ট দেই, কারো নজরেও পড়ে না। অথচ এই পোস্ট কিভাবে এতো শেয়ার হলো! এটা অবশ্যই আমার গুণে নয়, পোস্ট শেয়ার হয়েছে সোহেল তাজের গুণে। এত বেশি শেয়ার হয়েছে বলেই আমার পোস্টের স্ক্রিনশট সোহেল তাজের নজরে গেছে! সোহেল তাজ খুব মাইন্ড করেছেন।’’
তবে সাধারণ লোকের জন্ম বিয়ে প্রেম-বিরহ নিয়ে কেউই সাধারণত মাথা ঘামায় না। বডি তাজ সাধারণ কেউ নন, উনি বঙ্গতাজ শহীদ তাজউদ্দীনের পুত্র। আম জনতার চোখে শহীদ তাজউদ্দীনের যে ছবি আঁকা আছে, সেই ছবির ছায়াতেই জনতা তাজউদ্দীন সাহেবের ছেলেমেয়েকে দেখতে চায়। তখন ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখগুলো শত চেষ্টাতেও আর ব্যক্তিগত রাখা যায় না। সোহেল তাজের মতো বডি বিল্ডার দেশে অনেক আছে, কিন্তু তাদের কথা কয়জনে জানে! সোহেল তাজের কথা সকলেই জানে এবং ভালোবেসে ‘বডি তাজ’ ডাকে…. আজ সোহেল তাজ ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ভাবিত।স্ক্রিনশট পোস্ট করে সোহেল তাজ বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন আর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বলার কারণেই এই সব বানোয়াট কাহিনী বানানো হয়েছে।’ এ সময় দুজনের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানহানির মামলার জন্য প্রস্তুত হন আপনারা।’
তিনি এতে আরো বলেন, ‘গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন/নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর/মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্রেন ওয়াসড নব্য কাওয়া বডিলীগের চামচাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নীতি আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নাই- আমি আপনাদেরকে চিনি। আওয়ামী লীগের ব্রেইন ওয়াশড নষ্ট-পচা নীতি/আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা, খুনি-হত্যা, গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলব, অনতিবিলম্বে আমার এই ফেসবুক পেজটি আনফলো করতে- আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মউপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।’