তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, জাতির পিতার জয় বাংলা শ্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়েই সাত কোটি নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই যতক্ষণ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আছে জয় বাংলার গান গাইবো।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর নির্যাতিত, শোষিত, বঞ্চিত, মুক্তিকামী মানুষের আজন্মের অনুপ্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।’
প্রতিমন্ত্রী আজ জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলাধীন “কামালপুর হানাদারমুক্ত দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ এর সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. জাফর উদ্দীন ও মো. আব্দুস সামাদ, সাংবাদিক ও লেখক হারুন হাবীব, রাশেদুল হাসান শেলী প্রমুখ।
মুরাদ হাসান বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। এ দেশে সবারই পূর্ণ ধর্মীয় অধিকার রয়েছে। তবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা এ দেশে চলবে না। ধর্মকে পুঁজি করে যারা রাজনীতি করে, তাদের ধর্মপ্রীতি নিতান্তই লোক দেখানো। ধর্মীয় অনুশাসনকে এরা কখনোই অন্তর দিয়ে গ্রহণ করে না এবং অনুশাসন মেনে চলে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতির পিতার নেতৃত্বে নৌকা প্রতীক ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। বাকি ৩৬ শতাংশ ভোটার ছিলো আওয়ামী লীগের বাইরে, অর্থাৎ রাজাকার-দালাল। সেই রাজাকারের উত্তরসূরীরা এখনো এই বাংলায় বসবাস করছে এবং নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র আমাদেরকেই রুখে দিতে হবে।