কোনো অবস্থাতেই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুতদের দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের প্রতি আর উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই। সেখান থেকে নতুন কেউ বাংলাদেশে এলে তাকে গ্রহণ করা হবে না।’
আজ সোমবার দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ওই দেশের অভ্যন্তরীণ থেকে ছোড়া মর্টারের শেল পড়ছে আমাদের সীমান্তে। এরইমধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আবার আকাশসীমাও লঙ্ঘন করছে; তাদের নিজেদের সমস্যার কারণে আমরা সমস্যার সম্মুখিন হব কেন? এতে জাতিসংঘ এবং চীনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’
মিয়ানমার ইস্যুতে চীনের ভূমিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট তাদের নিজস্ব, তবে তা পাশের দেশের জন্য যাতে আতংকের না হয় এটা তাদেরই দেখতে হবে।এ ব্যাপারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
চীনের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, যেহেতু মিয়ানমার চীনের কথা শোনে, তাই তাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে চীনকে।’
যুক্তরাষ্ট্রও বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক সাথে কাজ করার অঙ্গীকার জানানোর পর বিএনপি এখন কী করবে? তাদের এখন কী বলার আছে? ক্ষমতায় বসানোর জন্য কে আসবে? ক্ষমতা থেকে হটানো বা ক্ষমতায় আসার সহায়তা কে করবে?’
বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে, নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তাদের চেষ্টায় কোনো সুফল আসেনি। বিশেষ করে ভিসানীতি বা নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকেনি।