সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি এক হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। আর এর পেছনে প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল জিয়াউর রহমান। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা যখনই বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছি তখনই পাকিস্তানের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহরে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিন্তু তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পাল্টা হুমকিতে তারা নিজেদের গুটিয়ে নেয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের স্টুডিও থিয়েটার হলে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত শ্রদ্ধাঞ্জলি ও স্মরণানুষ্ঠান’ -এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত তাঁকে হত্যার জন্য ১৯ বার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় এবং এদেশের জনগণের ভালোবাসা ও দোয়ায় তিনি প্রতিবারই বেঁচে গেছেন। কে এম খালিদ প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়াকে হত্যার জন্য কি একবারও চেষ্টা করা হয়েছে? সেটি হোক আমরা তা চাই না। কারণ, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতায় বিশ্বাস করে।
বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মঞ্চসারথি আতাউর রহমান ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।
অনুষ্ঠানে দেশের অগ্রগণ্য গণসংগীত দলসমূহের মধ্যে দলীয় পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, পঞ্চভাস্কর, ভিন্নধারা, উঠোন, সমস্বর, মিরপুর সংগীত একাডেমি ও সুরতাল ললিতকলা একাডেমি।
একক আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন আবৃত্তিশিল্পী নায়লা তারান্নুম কাকলি, মাহফুজা আক্তার মিরা ও ঝর্ণা আলমগীর। একক সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট গণসংগীত শিল্পী আরিফ রহমান।