জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে কার সঙ্গে জোট হবে জানি না। তাই তিনশ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। সে অনুযায়ী সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলকে সংগঠিত করতে কাজ শুরু করেছেন। শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টি নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
জিএম কাদের আরও বলেন, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থেকে ১২ মাসে ১৩ পাবণে ক্ষমতা প্রদর্শন করে তারা, দেশের মানুষ তা দেখতে বাধ্য। কেউ ইচ্ছে করলেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারছে না। আবার বিএনপি রাজনীতিতে দাঁড়াতে পারছে না। এই অবস্থায় কেউ বিএনপিতে যোগ দিতে চাচ্ছে না। সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা রাজনীতির বিকল্প শক্তি হতে পারেনি। রাজনীতির মাঠে দাঁড়াতে পারেনি ড. কামাল হোসেনের দলও। তাই এখনো দেশের মানুষের সামনে জাতীয় পার্টি একমাত্র বিকল্প শক্তি। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী দেখতে চায়।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, ঐক্যই জাতীয় পার্টির আসল শক্তি। তিনি বলেন, দলের প্রতিটি স্তরে শৃঙ্খলা আমাদের আশাবাদী করে। একটি কল্যাণমুখী নতুন বাংলাদেশ গড়তেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে জাতীয় পার্টি কখনোই আপস করবে না। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শের নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমরা এগিয়ে যাব। দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতেই আমাদের রাজনীতি।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় মহিলা পার্টির আহ্বায়ক সুলতানা রহমান, কৃষক পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূর আহমেদ মিঠু ও নুরুল হুদা জুজু। উপস্থিত ছিলেন-প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, আহমেদ শফি রুবেল, যুগ্ম-মহাসচিব মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ।