বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার করোনা মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং মানুষের জীবন নিয়ে তারা ছিনিমিনি খেলছে। আমরা প্রথম থেকে বলছি যে, এটা যেহেতু বৈশ্বিক মহামারি এবং ভয়াবহ একটি বিষয়, এটাকে মোকাবিলা করতে হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম একটা জাতীয় কমিটি গঠন করে জাতীয় বিশেষজ্ঞসহ গোটা দেশবাসীকে সম্পৃক্ত করে এই মহামারিকে মোকাবিলা করার জন্য।
লালমনিরহাট বিএনপির উদ্যোগে জেলার কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক বক্তব্য রাখেন।
ফখরুল বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কয় দিন পরে গণপরিবহন ছেড়ে দিল, এরপর ঈদ উপলক্ষে ছেড়ে দিল। গার্মেন্টসগুলো শ্রমিকদের ছুটি দিল, তারা ঈদের আগে ঢাকা ছেড়ে গেল। এভাবে তারা সংক্রমণ গ্রামের দিকে পাঠিয়ে দিল। এখন হঠাৎ করেই ১ তারিখ থেকে কলকারখানা খুলে দিল সরকার। এটা তাদের সিদ্ধান্তহীনতা নয়, বরং পরিকল্পিত। ফখরুল বলেন, সরকারের কাজ হচ্ছে সারাক্ষণ বিএনপিকে দোষারোপ করা। জিয়াউর রহমানকে কীভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়, কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে খাটো করা যায় সারাক্ষণ সেই চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘অত্যন্ত সম্মানিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ১৫ আগস্টের যে হত্যাকাণ্ড ১৯৭৫ সালে হয়েছে, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, বিচার করেছেন আপনারা (আওয়ামী লীগ সরকার)। এরপর সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ আপনারা এখন ‘গীত’ শুরু করেছেন যে, জিয়াউর রহমান এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। অথচ এটা কেউ কোথাও প্রমাণ করতে পারেনি।’
ফখরুল বলেন, সাংবাদিকরা যেন স্বাধীনমতো লিখতে না পারে সেইজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছে সরকার। আমরা জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়াব এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকারকে সরানোর জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।