আজ সোমবার রাতে শহরের চাষাঢ়া এলাকায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনে একটি রেস্টুরেন্টে নির্বাচন পরবর্তী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ‘মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ইভটিজিং এগুলো বন্ধ করতে সকলের সহায়তা লাগবে। এর মাঝে অনেকেই জড়িত আছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুলিশের।আজ একজন ভালো অফিসার থাকলে সব বন্ধ, কাল ভালো অফিসার না থাকলে আবার চলবে। আমি এসব বন্ধে মাঠে নামতে চাচ্ছি। এসব সমস্যা আমার একার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়।’
মাদক নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছি মাদক নির্মূল করবো।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৭ তারিখ শনিবার থেকে একেএম সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আমরা শুরু করবো। আমরা আগে সবাইকে নিয়ে বসবো। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের একত্র করে কে কী বলতে চায়, শুনবো। সবার সাথে কথা বলে, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব। এরপর প্রতিটা ওয়ার্ডে আমরা একটা করে কমিটি গঠন করবো। এরপর আমরা অনলাইনে মিটিং করবো।’
শামী ওসমান বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা মেডিকেল ক্যাম্প করবো, যারা আমার মত টাকার জন্য পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে পারেনি তাদের সহযোগিতা করবো। আমরা পারবো আশা করি। জাতির পিতার কন্যার শিক্ষা এটি, যে কয়দিন বেঁচে আছি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনে ১-২ টা মাস ক্রুশিয়াল টাইম। একটা অর্থনৈতিক ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করা হবে। যারা আপনাদের সকাল বিকাল স্বপ্ন দেখিয়েছিল ক্ষমতায় আসবে। যারা আগুন দিয়েছে তাদের ছবি ভিডিও আছে। যারা আগুন দিচ্ছে তাদের যাবজ্জীবন শাস্তি হবে। অনেক বড় বড় নেতার সাজা হয়েছে, যারা আপনার চেয়ে অনেক বড়। যা হবার হয়ে গেছে, সামনে যেন আর না হয় সেজন্য চেষ্টা করতে হবে। নো ভায়োলেন্স। নারায়ণগঞ্জটা আমাদের সবার, আমার ছেলে মেয়ের জন্য যখন পরিবার কাঁদবে সেটা কষ্ট লাগবে। এটাকে দুর্বলতা ভাববেন না, আমাদের নারায়ণগঞ্জ ও মানুষ ভালো থাকুক এটাই আমার চাওয়া।’