রাজধানীর আরামবাগে সড়কের ওপর মিনিট্রাকে সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করছে জামায়াতে ইসলামী। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে চারটি মিনিট্রাকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করে দলটি।
দুপুরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিক সমাবেশ শুরু করবে বলে শিবিরের সাবেক সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে তারা শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন হাজার হাজার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী। তবে পুলিশ তাদের নটরডেম কলেজ ফুটওভার ব্রিজের সামনে আটকে দেয়।
সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আরামবাগের দিকে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। মতিঝিল এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। আরামবাগ এলাকায় রাস্তায় বেরিকেড দেওয়া হয়েছে।
কয়েক হাজার জামায়াতের নেতাকর্মী কমলাপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছেন। তারা কালিমা খচিত ব্যান্ড মাথায় নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে পুরো শাপলা চত্ত্বর ঘিরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান আসাদুজ্জামান মতিঝিলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জড়ো হলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্স।
এদিকে নয়াপল্টন আর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট- এক কিলোমিটারের মধ্যে বড় দুই দলের সমাবেশ আজ। দুটি দলই পরস্পরকে ছাড় দিতে নারাজ। তাদের এ কর্মসূচি ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।