মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী টাঙ্গাইলকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন। মওলানা ভাসানীর মতো নেতা সারা বাংলাদেশের গর্ব। বাংলাদেশের ইতিহাস তিনি সৃষ্টি করেছেন। মওলানা ভাসানী না থাকলে এই বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তিনি ছিলেন মজলুম জননেতা। ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন।’
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠিত হয়।
বলে উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, ‘আগামী প্রজন্ম কেন তাকে চিনবে না? তাকে চেনানোর একমাত্র উপায় হলো পাঠ্যপুস্তক। তাই অবশ্যই মওলানা ভাসানীর ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ জন্য যদি মানবন্ধনে দাঁড়াতে হয়, অবশ্যই দাঁড়াবো।’
জাতীয় মাছ ইলিশ পাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশটা ইলিশ মাছে জন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আমাদের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ আসে। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ চোরাচালান বন্ধে কোস্ট গার্ড, বিজিবিসহ আনিশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।’
আসন্ন দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা ফরিদা বলেন, ‘এবারের পূজাটা নতুন বাংলাদেশের পূজা হবে। সামাজিকভাবে পরিবেশ সৃষ্টি করে পূজায় সবাই আনন্দ করবো। টাঙ্গাইলের পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আগামী ১৪ তারিখ যেন ঘোষণা দিতে পারি, টাঙ্গাইলের পূজা সবচেয়ে সুন্দর হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন– পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল হাসান চৌধুরী, ক্যাপ্টেন মোস্তানজিদ শাওন, র্যাব ১৪-এর ৩নং ভারপাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল বাছেত, জেলা আনসার ও ভিডিপি কমাড্যান্ট কামরুজ্জামান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দে সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।