আজ বৃহস্পতিবার মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রাজনীতিকে মানুষের কাছে তুলে ধরার আহবান জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি) কতৃক ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তাগন মওলানা ভাসানীর রাজনীতির অপব্যাখ্যা করার প্রয়াস রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
সভায় আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালু ও আইএফসি বাংলাদেশ-এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডঃ এস আই খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করা হয়।
ক্যান্সার চিকিৎসারত আতিকুর রহমান সালু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিগত ৫ ডিসেম্বর শেষ নিঃশাষ ত্যাগ করেন। ডঃ এস আই খান ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রায় এক বছর চিকিৎসার পর ২৩ নভেম্বর ইহজগৎ ত্যাগ করেন।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি একটি মহল মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছেন এই বলে যে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবস্থানকালে ভারত-বাংলাদেশ কনফেডারেশন গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী ৫ বছর সক্রিয় রাজনীতি করা সত্বেও মওলানা ভাসানী নিজে অথবা তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত অন্য কেউ এমন কথা বলেননি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম প্রবক্তা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আমৃত্যু সম্প্রসারণবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনীতিকে ধংস করার অপপ্রয়াস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যায়। তাই এই অপপ্রয়াস প্রতিরোধ করতে হবে বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
উক্ত আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়েষ্ট সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধূরী। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। সভাপতিত্ব করেন আইএফসি সমন্ব্য়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার। আলোচনায় অংশ নেন, বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও লেখক সিরাজ উদ্দিন সাথী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ন্যাপ ভাসানী নেতা কাম্রুল হুদা, বাম নেত্রী দীপা দত্ত, স্যাম্যবাদী দল নেতা কাজী মোস্তফা কামাল, ডিইউজের সাবেক সভাপতিদ্বয় কবি আবদুল হাই সিকদার এবং এলাহী নেওয়াজ খান সাজু।