আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাদুল কাদেরের অনুসারী তিন ভাগ্নের ‘পা ভেঙে’ দিতে নিজের অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।
তারা হলেন-মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, সালেকীন রিমন। সম্পর্কে এ তিনজন কাদের মির্জারও ভাগ্নে। তবে তারা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ঘনিষ্ঠ এবং ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী বলে পরিচিত।
একইসঙ্গে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রবিউল হককে কোম্পানীগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন মেয়র কাদের মির্জা। ডিবির ওই কর্মকর্তাকে কোম্পানীগঞ্জে কোথাও পাওয়া গেলে তার মাথা চৌচির করে (ফাটিয়ে) দিতে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া তার আর কোনো অনুসারীকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করলে ঝাড়ু ও লাঠি মিছিল কর্মসূচি করার হুঁশিয়ারি দেন কাদের মির্জা।
কাদের মির্জার অনুসারী নাজিম উদ্দিন বাদলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল ৫টায় পৌর মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় এসব হুমকি-ধামকি দেন তিনি।
প্রতিবাদ সভা শেষে মেয়র কাদের মির্জার নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বসুরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় নিজে বেশ কয়েকটি স্লোগান দেন কাদের মির্জা। তার মধ্যে অন্যতম ছিল, ‘রবিউলের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘রবিউলের চামড়া তুলে নেব আমরা’, ‘আন্দোলনের শেষ পথ, অস্ত্রহাতে রাজপথ’।
জানতে চাইলে ডিবির পরিদর্শক রবিউল হক বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। তাই এ নিয়ে আর কিছু বলার নেই।’
তবে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।