সদ্য অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ওঠা অনিয়ম ও কারচুপির বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। আজ বৃহস্পতিবার বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। আশা করি নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
গত রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা। তিনি ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাজাহান আলম পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছেন জিয়াউল হক মৃধা। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুটি আসনের উপনির্বাচনেই জাল ভোটের খবর এসেছে। পরে নির্বাচন কমিশন ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করে তদন্ত কমিটি করেছে।
উল্লেখ্য, জিয়াউল হক মৃধা রওশন এরশাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গত বছর রওশন এরশাদের পক্ষ নেওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার হন তিনি। তার করা মামলায় জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রায় চার মাস আদালতের নিষেধাজ্ঞায় দলীয় দায়িত্ব থেকে বিরত ছিলেন।