ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিশ্ব জয় করার শক্তির নাম হচ্ছে মেধা। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের মেধা আছে এবং তারা উত্তরাধিকার সুত্রে সাহসী। একান্ন বছর আগে বিনা অস্ত্রে পাকিস্তানীদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে যুদ্ধ করেছি- বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাহসকে পুঁজি করে আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধে সফলতার দ্বার প্রান্তে বলে উল্লেখ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে বাংলালিংক এনোভেটর্স ৬.০ –এর গ্রান্ড ফিনালে উপলক্ষ্যে বাংলালিংক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: খলিলুর রহমান এবং বাংলালিংক সিইও এরিক অস উপস্থিত ছিলেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দেশে মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সামনের দিনে ৩জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না। সামনের দিনের নেটওয়ার্ক হবে ২জি, ৪জি এবং ৫জি। কথা বলার জন্য শুধু ২জি এবং ৪জি প্রযুক্তি প্রয়োজন হবে। ৫জি প্রযুক্তির মহাসড়ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, আইওটি কিংবা ব্লকচেইন প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন হবে। তিনি মোবাইল অপারেটরসমূহকে স্পেকট্রাম সুবিধা কাজে লাগিয়ে ৫জি প্রযুক্তি সম্প্রাসারণে উদ্যোগ দ্রুততার সাথে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশের সফলতা তুলে ধরে বলেন, সাধারণের নাগালের মধ্যে মোবাইল ফোন সেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে চারটি মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স প্রদান করে মোবাইল সেবার প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এর ফলে মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ হয়, মোবাইল সেবা পৌঁছে যায় সাধারণের নাগালে। তার হাত ধরেই ১৯৯৭ সালে ২জি, ২০১৩ সালে ৩জি, ২০১৮ সালে ৪জি এবং ২০২১ সালে ৫জি মোবাইল প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টায় ১৯৭৩ সালে আইটিইউ-এর সদস্যপদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের যে বীজ বপন করে গেছেন তা শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে গত ১৮ বছরে বাংলাদেশকে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণের সক্ষম দেশ হিসেবে রূপান্তর ঘটিয়েছে। মন্ত্রী মেধা বিকাশে বাংলালিংকের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক-এর বিভিন্ন উদ্যোগ তরুণদেরকে উদ্ভাবনী হতে অনুপ্রাণিত করছে। এই কর্মসূচি থেকে পাওয়া শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করে তুলতে পারবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে মন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।