২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গৌরবোজ্জল ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনে আমি দেশবাসীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসাথে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞচিত্তে সেই দেশের অবদান স্বীকার করছি, যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন ও সহায়তা জুগিয়েছে।
মহান স্বাধীনতা দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছি ৩০ লাখ বীর শহীদদের। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করে যারা আমাদের লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছেন। সশ্রদ্ধ সালাম সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যারা জীবনবাজী রেখে লড়াই করেছেন আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য।
পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের আধুনিকায়নে যার অপরিসীম অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি।
মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বাংলাদেশীদের জীবনে এক অবিনশ্বর চেতনা। মহান স্বাধীনতা জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সামনে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। প্রতিটি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে একাত্তরের গৌরবোজ্জল উত্তাল দিনগুলো আজীবন পথ দেখাবে।
মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্ববাসীর সামনে সাহস আর বিজয়ের প্রতিক হয়ে থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ আজীবন সুখী ও সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়তে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
এই শুভক্ষণে আগামী প্রজন্মের সুখময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ক্ষুধা, দারিদ্র এবং দুর্নীতিমুক্ত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
সবার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল, সম্বৃদ্ধি এবং সুস্থতা কামনা করছি।