বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করালে তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও ডা. এফ এম সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।
তারা জানান, খালেদা জিয়াকে রিং পরানোর পর নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয়। সাইড ইফেক্টের কারণে চিকিৎসা দিতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারমধ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাসায় তাকে প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ে রাখা হবে। জটিলতা দেখা দিলে হাসপাতালে আনা হবে।
তারা আরও জানান, খালেদা জিয়ার কিডনির জটিলতা কিছুটা সমাধান করা গেলেও, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না। বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করালে হয়তো তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
উল্লেখ্য, ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বুকে ব্যথা নিয়ে গত ১০ জুন গভীর রাতে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তার হৃদযন্ত্রে একটি স্টেন্ট বসানো হয়। হাসপাতালের বিশেষ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন। একটি ব্লক অপসারণ করা হলেও খালেদা জিয়ার হৃদপিণ্ডে আরও দুইটি ব্লক ধরা পড়ার কথাও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।