বিদেশিরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি বন্ধুরা মূলত অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। কাউকে ধমক, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ হবে- এমন কোনো উক্তি (কথা) তারা করেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা তারা বলেননি।’
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিদেশি বন্ধুদের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়, তারা বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে; বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, বিদেশি বন্ধুরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে এমন ধারণা বা আশঙ্কা তৈরির চেষ্টা করেছিল যে, এবার বুঝি সরকারের রেহাই নেই, নিষেধাজ্ঞা আসছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভিসানীতি সরকারকে বিপদে ফেলবে। সরকারকে হয়তো ফাইনালি বলে দেবে এভাবে ইলেকশন (নির্বাচন) করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েই যাবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে- এ রকম চেয়েছিল বিএনপি। শেষ পর্যন্ত কী হলো?’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। সেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা রক্ষা করবো। কারও কোনো ধরনের উসকানিতে, খারাপ ব্যবহারে সেই পরিবেশ ক্ষুণ্ন হয়েছে- এ দুর্নামটা নিতে চাই না।’
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র পরিহার করে নির্বাচন করুন। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা যে মনোভাব প্রদর্শন করছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, নির্বাচনকে ভন্ডুল করার যে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তার দায় বিএনপিকেই নিতে হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বিএনপির দফা কয়টা? দল কয়টা? রাষ্ট্র মেরামতের জন্য এখন ৩২ দফা, আগে ছিল ২৭ দফা। এ আন্দোলন, এক দফার জগাখিচুড়ি ঐক্যের পরিণতি গতবারও দেখেছি, এবারও সেদিকেই যাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। ডিসেম্বর থেকে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর তোড়জোড় করছেন তারা। এখন তো এটাই বাস্তবতা যে, গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে সেখান থেকে পদযাত্রা কর্মসূচিতে গেছেন তারা। কতটা অবনতি হলে তারা এটা করতে পারেন। তাদের কর্মীরা এখন হতাশ, নেতাদের দোষারোপ করছেন। সরকার পতনের এক দফার ডাক দিয়ে পদযাত্রায় গেলো! এর কারণ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, যার জনপ্রিয়তাকে বিএনপি ভয়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখন থেকে দলীয় (আওয়ামী লীগ) যে সমাবেশ হবে, তার শিরোনাম হবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ।’