English

28 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৫
- Advertisement -

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র টিকতে পারে না: আমির খসরু

- Advertisements -

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া একটি দেশের গণতন্ত্র টিকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন।

আজ রবিবার নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় খালাস পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আমির খসরুসহ ৫ জনকে খালাস দেন।  খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী, মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব ও রবিউল ইসলাম রবি। এদিন আমির খসরু, নাওমী ও নয়ন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে বিচারক খালাসের রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহসহ অন্যর উপস্থিত ছিলেন।

রায়ে খালাস পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আমির খসরু বলেন, মুক্ত বিচার বিভাগ, স্বাধীন বিচার বিভাগ; যেটার জন্য আমরা ১৫/১৬ বছর লড়েছি। বিচারের নামে যে প্রহসনে লাখ লাখ মানুষ আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে, জীবন হারিয়েছে, কারাগারে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে। পুলিশ হেফাজতে মারা গেছে। এর ক্ষতিপূরণ কে দিবে? বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছাড়া একটি দেশের গণতন্ত্র টিকতে পারে না।

তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ৪২টা মামলা। বিগত বছরগুলোতে সপ্তাহে ২ দিন তো আমাদের কোর্টেই সময় দিতে হতো। এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কতদিন লাগবে জানি না। আজকে একটার রায় হয়েছে। আরও অনেক মামলা আছে। মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশে শুধু আমি না, বিএনপির ৬০ লাখের অধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তাদের জেলে নেওয়া হয়েছে। গুম, খুন করা হয়েছে। তাদের বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। চাকরি-ব্যবসা ছাড়তে হয়েছে।

বিচার বিভাগের স্বাধীন সচিবালয় গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে আমির খসরু বলেন, এটা তো আমাদের প্রস্তাবনা। এখন যদি এটা বাস্তবায়ন না হয়, আমাদের সময় আমরা বাস্তবায়ন করবো। অবশ্যই করবো।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার দাবি তুলে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ডিবির তৎকালীন পল্লবী জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ।

মামলায় আমির খসরু ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে তখনকার ছাত্র আন্দোলনে উস্কানির জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করা হয়। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিমা অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু আদেশ দেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন