বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের সাংবিধানিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার সর্কিট হাউসে কক্সবাজার জেলার আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং কক্সবাজার জেলার আইনজীবী নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অবৈধ উপায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবি করলেন। অথচ আইনে চাকরিজীবীদের কোনভাবেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এভাবে সাংবিধানিক শাসন, আইনের শাসন ধ্বংস করে দিয়ে বাংলাদেশকে অন্তত ৫০ বছর পেছনে ফেলে গেছেন জিয়াউর রহমান”।
এ সময় মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশে প্রতিষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে জিয়া। রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না, এটা আইনে পরিণত করেছে জিয়া। তার স্বাক্ষরে খন্দকার মোশতাকের জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইনে পরিণত হয়েছে”।
শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ‘৭১ এর এর পূর্বের বাংলাদেশে পরিণত করতে চেয়েছে। আর বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছে খালেদা জিয়া। বিএনপি-জামায়াত আজ দেশে ও দেশের বাইরে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রকারীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে। এ সময়ে আইনজীবীদের দায়িত্ব রয়েছে। এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্র যাতে সফল না হয় সেজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যে কোন মূল্যে তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে”।
“দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার কাছাকাছি কেউ নেই। তিনি চান কোন কিছু আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না। শেখ হাসিনা মনে করেন, যে যে দলই করুক না কেন, অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি করলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এটিই হচ্ছে আইনের শাসন”- যোগ করেন মন্ত্রী।
পরে কক্সবাজার সার্কিট হাউসে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন চকরিয়াস্থ চিংড়ি প্লট উন্নয়ন সংক্রান্ত অংশীজন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী। এদিন সকালে তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের কাঁকড়া হ্যাচারি পরিদর্শন এবং কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত এসপিএফ (স্পেসিফিক প্যাথোজেন ফ্রি) চিংড়ি হ্যাচারি পরিদর্শন করেন।