বিএনপি দেশের রাজনীতিতে থাকা না থাকা নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি এখন জনআস্থার তীব্র সংকটে ভুগছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন তারা আছে, চলছে এবং রাজনীতিতে সোচ্চার। আমরা চাই তারা থাকুক, তবে অপরাজনীতি ত্যাগ করে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুক, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করুক।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে দলের নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব বক্তব্য বিএনপির চলমান ভাঙ্গা রেকর্ড, যা তারা বাজিয়েই যাচ্ছে। প্রতিহিংসা নয় সরকার উদার বলেই বিএনপি নেত্রী এখন পছন্দের ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে পারছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতাই বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের মাঝে এতটুকু কৃতজ্ঞতাবোধও নেই।
‘সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, সরকার গণবিচ্ছিন্ন’, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানতে চান, বিচ্ছিন্নতার মাপকাঠি কী? নির্বাচনই যদি মাপকাঠি হয় তাহলে সাম্প্রতিক নির্বাচন, উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য প্রায় সব নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে জনগণ কার সাথে আছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও প্রমাণ হবে জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের সাথে আছে, নাকি বিএনপি’র সাথে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতমুখী রাজনীতি বিএনপি’র ষড়যন্ত্র ও উন্নয়নবিমুখ রাজনীতিতে সংকটের প্রকট ছায়া ফেলেছে। তাই বিএনপি এখন হতশ্রী ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলে পরিনত হয়েছে। বিএনপি জলাতঙ্ক রোগের মতো জনগণ ও নির্বাচন আতঙ্কে ভুগছে।
‘সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে’, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসংগে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের এমন কথায় মানুষ হাসে। দেশের অর্থনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল অর্থনীতির মর্যাদায় অভিষিক্ত। বিএনপি এখনো হাওয়া ভবনের কালো চশমা পরে আছে বলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে দেখতে পায় না। দেখলেও তা সহ্য হয় না বিএনপির।