মধ্যরাতে বিএনপির কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘যখন সব নেতাকর্মী, সব সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন, তখন কেন আসেননি? মাঝরাতে কেন আসলেন? শূন্য কার্যালয়ে যেকোনও চক্রান্ত আঁটা যায়। এর আগেও তারা এমন করেছে।’
বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের দফতর বিভাগের এই দায়িত্বশীল নেতা বলেন, ‘এই নাটক নোংরা। অশ্লীল নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে মাঝরাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিবি পুলিশ প্রধানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই অভিযানের আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, গুলি করা হয়েছে। একটি বাহানা তৈরি করে এরপর দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখান থেকে বিস্ফোরক-লাঠিসোঁটাসহ নানা কিছু জনগণের সামনে তুলে ধরতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘ডিবি পুলিশের এটা করা মানে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা বার্তা দেওয়া যে তারা যেন ভয় পেয়ে যায়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাচ্ছি।’
মাঝরাতে কেন এই অভিযান, প্রশ্ন রেখে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় যখন শূন্য, নেতাকর্মীরা যখন ঘুমাচ্ছিল, তাহলে মাঝরাতে কেন এই অভিযান? কারণ শূন্য কার্যালয়ে যেকোনও চক্রান্ত আঁটা যায়। এর আগেও ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল যে পুলিশ বিস্ফোরক নিয়ে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করেছিল।’
অভিযানের সময় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণসহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।