English

21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

বিএনপি অতীতেও পরাজিত হয়নি, এখনও হবে না: মির্জা ফখরুল

- Advertisements -

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মে দিবস পালন করছি যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিএনপি অতীতেও পরাজিত হয়নি এখনও হবে না। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, আরও প্রস্তুত থাকতে হবে।

বুধবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাম-ডান একসাথে হয়ে সরকার সরানোর চেষ্টা করছে। অতি বাম-অতি ডান নয়, সব মানুষ বলছে এই সরকারের আমলে তাদের ন্যূনতম অধিকার হরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কি তাদের অপরাধ? গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, এটাই সরকারের অপরাধ। ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে সরকার।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী জেলে, খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে। বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসস্তূপ থেকে জেগে উঠে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। নিজেদের লোকদের সুবিধা দিতে আবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। এখন আর চুপ থাকলে চলবে না। সকল রাজনৈতিক দল, মত সকলকে অধিকার ফিরিয়ে আনতে রাজপথে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আন্দোলনের মাধ্যমে ইপ্সিত লক্ষ্য অর্জন করা হবে।

এসময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিকের অধিকার, ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সহজ নয়, এজন্য অনেক রক্ত-শ্রম দিতে হয়। আওয়ামী লীগ বুলেটের জোরে ক্ষমতায় এসেছে, মানুষের ভোটে নয়। বিএনপি রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে একদলীয় সরকারকে বিদায় দেওয়া হবে।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে বিএনপি এবং সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেন।

এর আগে তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরপর নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন বের করে দলটি।

র‌্যালিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও র‍্যালিতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,  ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার, মো. মোহন, আনম সাইফুল ইসলাম, তানভীর আহমেদ রবীন, মনির হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য এডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, হাজী ইউসুফ, এবিএমএ রাজ্জাক, জামশেদুল আলম শ্যামল, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূইয়া, সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, যুগ্ম মহানগর শরিফুল ইসলাম আউয়াল, আনোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, জিল্লুর রহমান, আরিফ হোসেন, মো. জসীম, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান, বৃহত্তর উত্তরা থানা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুস ছালাম, উত্তরখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম খান, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, তেজগাঁও থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, শেরে বাংলা নগর থানার যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল সিকদার, দক্ষিণখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান নাজিম উদ্দীন, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শুক্কুর মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এস আহমাদ আলী, আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফ ও মাসুম বাবুল, মোহাম্মদপুর থানা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আলী কায়সার পিন্টু সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল হাওলাদার, সবুজবাগ থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল রহিম, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম মিয়া, চকবাজার থানাধীন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী, উত্তরাপূর্ব থানার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সুরুজ আলম সহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, শ্রমিক দল, জাসাসসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন