দ্রব্যমূল্য নিয়ে বাম জোটের ডাকা হরতালে জনগণ সাড়া দেয়নি বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে বাম জোটের ডাকা হরতালে প্রচণ্ড জ্যাম ছিল। যারা হরতাল ডেকেছে তাদের লজ্জা হচ্ছে কি না জানি না, বরং তাদের জন্য আমারই লজ্জা লাগছে। কারণ হরতালে জনগণ বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি। আর জাফরুল্লাহ সাহেবও হরতাল ডেকেছিলেন, তবে হরতাল ডেকে তিনি চলে গেছেন লন্ডনে।
সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাম ভাইয়েরা, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলেন, তাদের আমি সম্মান জানাই। কিন্তু তারা কেন এই হরতালটা ডেকে নিজেদের হাস্যকর করলেন- সেটিই আমার প্রশ্ন।
এসময় দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ ও করোনার কারণে সারা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমাদের দেশেও আমদানি নির্ভর কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকার স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে যেভাবে কম মূল্যে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন, তাতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন সবচেয়ে বেশি চাল মজুত। কেউ যদি অহেতুক দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যারা ইতিহাস বিকৃত করছে তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় আসলে ‘সোয়াত জাহাজ’ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিলেন। তবে ফেরত এসেছিলেন মানুষের বাধায়। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডে তখনকার পাকিস্তানি কর্নেল, পরবর্তীতে যিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হয়েছিলেন, তিনি চিঠি লিখেছিলেন যে, তার (জিয়াউর রহমান) কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানিরা খুশি এবং তাকে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে কোনো চিন্তা না করতে। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানিদের গুপ্তচর।
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে বিএনপির সমাবেশ করতে চাওয়ার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, পুলিশের ভাষ্যমতে বিএনপি ষোলশহরে সমাবেশ ও ফুল দেওয়ার অনুমতি নিয়েছিলো। কালুরঘাটে সমাবেশের অনুমতি নেয়নি। বিএনপির বেশিরভাগ সমাবেশেই গণ্ডগোল হয়, গাড়ি ভাঙচুর করে আবার নিজেরাও মারামারি করে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের দায়িত্ব এবং বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করা যায় না।