গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, তালেবানদের বাংলাদেশের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। আজকে যদি আমরা তাদের স্বীকৃতি না দেই, তখন তারা ভারতের হিন্দুত্ববাদের দিকে যাবে। উদারপন্থী ইসলামিক রাষ্ট্র না হয়ে তারা তখন কঠোর ধর্মান্ধ রাষ্ট্র হবে। সে জন্য একটা উদার ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে আমাদের দেশের সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত। তাহলে আমরা তাদের প্রভাবিত করতে পারবো।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ‘করোনা ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এছাড়া এনডিএমের নূরুজ্জামান হীরা, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরদ্ম রামকৃষ্ণ সাহা, মো. ফারুক হোসাইন হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট জহুরা জুঁই, যুব মিশনের ইমরুল কায়েস, ছাত্র মিশনের সৈয়দ মো. মিলন, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গাদের ট্রেনিং দিতে হবে, যাতে তারা তালেবানদের মতো আরাকান মুক্ত করতে পারে। বিশিষ্ট এই মুক্তিযোদ্ধা আরো বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে যা হয়, আমাদের দেশে এখন তাই হচ্ছে। গুম বাড়ছে। আমেরিকা অনুরোধ করেছিল, আফগানদের সাময়িকভাবে জায়গা দিতে, কিন্তু গোয়ার্তুমি করে সরকার সেটা না করেছে। এটা একটা ভুল কাজ করলো সরকার। আমেরিকার এই অনুরোধটা রাখা উচিত ছিল।
চন্দ্রিমা উদ্যানে ছাত্রদল ও পুলিশের সংঘর্ষ সম্পর্কে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যে কোন দলের কর্মীরা তাদের নেতার কবরে মাজারে ফুল দিতে যায়। এটা স্বাভাবিক। এজন্যে তাদের পিটাতে হবে, গুলি করতে হবে এই রকম ঘটনা কখনও দেখিনি। তিনি সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারা সীমান্ত বন্ধ করতে পারেন না? সীমান্ত দিয়ে ভাইরাস নিয়ে মানুষ ঢুকে যায়, সেটা বন্ধ করতে পারেন না? কেবলমাত্র বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন করতে পারেন! আপনাদের উন্নয়ন মানে অত্যাচারী উন্নয়ন। এ সমস্ত উন্নয়ন আমাদের শোনানোর দরকার নেই।
এ সময় তিনি ছাত্রসমাজের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত, আপনারা যার যার শিক্ষকদের অনুরোধ করে নিজেদের মত করে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করুন।