আগামী নির্বাচন ও আন্দোলনের কর্মপন্থা ঠিক করতে দ্বিতীয় দফায় ধারাবাহিক বৈঠকের শেষদিনে দিনে বৃহস্পতিবার খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের বিএনপি নির্বাহী কমিটি সদস্য ও জেলা সভাপতিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিকেল ৪টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক শুরু হয়ে চলে সাত ঘণ্টা।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামীতে এই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যাওয়া মানে বিএনপির রাজনৈতিক আত্মহত্যা। তাই বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়। নিরপেক্ষ সরকারের দাবি পুরণের জন্য সারাদেশে আন্দোলন করতে হবে। তবে আন্দোলনের মুল কেন্দ্র রাখতে হবে ঢাকা। নেতারা বলেন, ওয়ান ম্যান শো দলগুলোর সঙ্গে জোট করে কোনো লাভ হবে না, বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে, রাজধানী ঢাকা প্রস্তুত করে বিএনপিকে এককভাবে আন্দোলনের ডাক দিতে হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দাবি আদায় করতে সবাই আন্দোলনের কথা বলেছেন। নেতারা বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মতো একই পরণতি ভোগ করতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দাবির পক্ষে সরকার বিরোধী যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাদের একই প্লাটফর্মে আনতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবির পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য দলের কূটনৈতিক উইংকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
মূলমঞ্চে ছিলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চান। নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মনা। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ১০৮ জন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত ছিলেন ৮৬ জন।
উল্লেখ্য এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর টানা তিনদিন ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদক ও সহ সম্পাদকদের মতামত নেন দলের নীতিনির্ধারকরা। এরপর দ্বিতীয় দফায় প্রথম দিন গত ২১ সেপ্টেম্বর সাংগঠনিক বিভাগ ঢাকা ও ফরিদপুর, ২য় দিন ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা’র অঞ্চলের দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতিদের মতামত নেয় বিএনপি।