ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ জাপান সম্পর্ক তুলনাহীন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে জাপান সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাপান সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছেন । পশ্চিমা দেশ বিশেষ করে ইউরোপ –আমেরিকা থেকে শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়। এশিয়া অঞ্চলে জাপান শিল্পবিপ্লবে ভূমিকা রেখে আমাদের গর্বিত করেছে। বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু জাপানের কাছে শেখার অনেক কিছু আছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী গতকাল রাতে ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জাপান বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ হকস বে অটোমোবাইলস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারি আবদুল হকের জাপান সম্রাটের অর্ডার অব দি রাইজিং সান পুরস্কার অর্জন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী, সরকার এবং বেসরকারিখাত যৌথ সহযোগিতা সমৃদ্ধ জাতি বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে আবদুল হক অনুকুরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে উল্লেখ করেন। কম্পিউটারের ওপর থেকে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ভ্যাট – ট্যাক্স প্রত্যাহারে তৎকালিন এফবিসিসিআই নেতা আবদুল হকের ভূমিকা মন্ত্রী গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্টদূত ইতো নাওকি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড, মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, এফবিসিসিআই‘র সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি আবদুল আওয়াল মিন্টু প্রমূখ অনুষ্ঠানে বক্তৃা করেন।
রাষ্ট্রদূত নাওকি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরকে দুদেশের সম্পর্কোন্নয়নে ঐতিহাসিক ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের আড়াই হাজারে জাপানি ইপিজেড প্রতিষ্ঠার বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের বিষয়ে সবিস্তারে তুলে ধরেন।