বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এক দফার দাবি ছিল ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটাতে পেরেছি। তবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এখনো হয়নি। এজন্য আমাদেরকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল মাঠ প্রাঙ্গণে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এতে ড্যাবের চিকিৎসক, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা ও গত বছর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের অনেকে অংশগ্রহণ করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মালিকানা নিয়ে একটি বিশেষ দলের অপচেষ্টা আমাদেরকে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু তারা নিজেরা সেটি ভোগ করতে পারে নাই। সেটা তাদেরকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। আজকেও আমরা একটা অপচেষ্টা দেখছি। বছরের পর বছর আন্দোলন করতে করতে জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি পরিবর্তন অর্জন করেছি। লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে এ দেশের সচেতন ছাত্রসমাজের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে স্মরণ করি। কিন্তু এ লড়াইয়ের অর্জন, বিজয় সারা দেশের সব মানুষের। আপনাদের সবার অবদান এখানে আছে।
তিনি ড্যাবের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ড্যাব একটা ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। যা নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী কমিটিও নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে সেটাই প্রত্যাশা। মানুষ বিপদ থেকে মুক্তির আশায় আপনাদের কাছে আসে। তারা আপনাদেরকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে। আপনার কিছু বললে তারা গুরুত্ব দেয়। দয়া করে আপনারা তাদের বলুন- এ দেশ দীর্ঘ সময়ের আন্দোলন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে একটা পরিবর্তন অর্জন করেছে।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিকুল কবির লাবু, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, সাবেক সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. এম এ সেলিম, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সহসভাপতি ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. আবুল কেনান, ডা. মো. ফখরুজ্জামান ফখরুল, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. মুরাদ হোসেন প্রমুখ।