‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি বলেছে- এ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না’ এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি এই কথা বারবার বলে আসছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও বলেছিল পরে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমি আশা করব, এবারও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
সোমবার বিকালে সিনেমা হল মালিকদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর ওই প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল কি করল না সেটির চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না। বিএনপি ও তার মিত্ররা যদি নির্বাচন বর্জনও করে, জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিকমানের নির্বাচন বাংলাদেশে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
বিএনপি নির্বাচনে আসুক সরকার তা চায় কি না এ প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক, সে জন্যই আমরা তাদের বারংবার আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু তারা “নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা”র মতো বলে যে, নির্বাচনের পরিবেশ নাই। এ জন্য আমি নাচব না অর্থাৎ নির্বাচনে অংশ নেব না। তারা যদি এত জনপ্রিয়ই হয়, নির্বাচনে আসুক।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আর আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, স্বচ্ছ নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন তো সরকারের কার্যত কোনো ক্ষমতা থাকে না, একজন কনস্টেবল বা এসি ল্যান্ড বদলির ক্ষমতাও থাকে না। এই ব্যবস্থার ওপর যদি তাদের আস্থা না থাকে, তাদের আসলে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র কোনো কিছুর ওপর আস্থা নাই। দেশের ওপর আস্থা না থাকার কারণেই তো মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন- পাকিস্তানই ভালো ছিল।’
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বেগম জিয়া যেন বারংবারের মতো দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। অতীতেও যখন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছিলেন তখনই বিএনপি বলেছিল এবং তখনও মেডিকেল টিম একই ধরনের ব্রিফ করেছিল যে, বেগম জিয়ার মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে, বিদেশে না নিলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু স্রষ্টার কৃপায় বাংলাদেশের চিকিৎসদের মেধাবী চিকিৎসা, সেবা শুশ্রূষায় তিনি প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান সে জন্য সরকার আন্তরিক এবং যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সেটি করছে। দেশের সবচেয়ে ভালো একটি হাসপাতালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে, যদি কোনো বাইরের ডাক্তারও আনার প্রয়োজন পড়ে তারা আনতে পারেন। আর বিদেশ পাঠানো সেটি আদালতে এখতিয়ার। যদি তাদের সেটাই করতে হয় তাহলে তারা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন।’