সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এ সময় তিনি কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে হরতালের নামে অবরোধ সৃষ্টি করে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হলে অবরোধ ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেন আলোচিত মেয়র কাদের মির্জা।
তিনি আরো বলেন, হরতালের নামে অবরোধ সৃষ্টি করে তারা ১০টা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। ২০০ গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি ও লুটপাট করেছে। প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করেছে। গত পরশু (শনিবার) টেকের বাজারে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে গুলি করেছে। গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটকে অপমান করেছে। অপরাধিরা চিহ্নিত। অথচ পুলিশ এখন পর্যন্ত একজন অপরাধীকেও গ্রেফতার করেনি।
মেয়র কাদের মির্জা বলেন, ‘আমাকে হত্যা করার জন্য ‘কুত্তা’ রাহাত (ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাত) এএসপি শামীমকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে, ইউএনওকে পাঁচ লাখ দিয়েছে, ওসিকে পাঁচ লাখ দিয়েছে আর এসি ল্যান্ডকে দুই লাখ টাকা দিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: সাহাব উদ্দিন সম্পর্কে কাদের মির্জা বলেন, তিনি একজন ‘অপদার্থ, দালাল, চামচা, মেরুদণ্ডহীন প্রাণী ও বাজে লোক’। তিনি উপজেলা প্রশাসনের চামচামি করেন। কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য তিনিও দায়ী। একদিন জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে।
নিজের বড় ভাই ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পর্ক সম্পর্কে কাদের মির্জা বলেন, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কোনো যোগ্যতা নেই। তার মন্ত্রণালয় চালায় এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার সবুজ। তিনি সব নিয়ন্ত্রণ করেন। মন্ত্রণালয়ের টাকা তিন ভাগ হয়। ‘একভাগ তারেক জিয়ার কাছে পাঠায়। এক ভাগের কথা পরে কমু। আরেক ভাগ পায় সরকারি কর্মকর্তারা’।
তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের পুলিশ মানুষের সেবক নয়। তারা মানুষের বোঝা। এদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দেয়া হোক। কোম্পানীগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ডের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে কমিটি গঠন করতে হবে। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, কোম্পানীগঞ্জে আর অস্ত্রবাজি করতে দেয়া হবে না। চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না। রাস্তায় রাস্তায় ডাকাতি ও লুটপাট করতে দেয়া হবে না। জীবন দেব তবুও এই এলাকার মানুষকে নিরাপত্তা দেব।
নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, যারা আমাদেরকে রাজাকারের সন্তান বলেছে, যারা ওবায়দুল কাদেরের গালে গালে জুতা মার বলে ঝাড়ু মিছিল করেছে, যারা মদ খেয়ে ওবায়দুল কাদেরকে গালাগাল করেছে, যারা প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে, যারা নোয়াখালীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, যারা চাকরি বাণিজ্য করেছে, টেন্ডার বাণিজ্য করেছে, তারা যদি নেতা হয় সে দলে আমার মতো লোকের থাকার দরকার নেই।