দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘প্রতিটি ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষাগ্রহণ করি। হয়তো শতভাগ আমরা নিজেদের কারেকশন করতে পারি না।’
আজ সোমবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিপোর যে নীতিমালা রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছিল কি না, তা তদন্তে উঠে আসবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ফায়ার সেফটি বাস্তবায়নে কাজ করা হবে।’
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য ১ লাখ ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেবে। একই সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয় নিহতের পরিবারের জন্য ২ লাখ ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেবে। যারা আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের ব্যয়ভার সরকার নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন এখানে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে হবে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবাইকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, আমরা সেই মোতাবেক কাজ করে চলেছি।’
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাতে লাগা আগুনের ফলে একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় রাত পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৪ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের পর আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
নিহতদের অধিকাংশের পরিচয় এখনো মেলেনি। সেই পরিচয় নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে চলছে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১৬ পরিবারের ৩০ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিএনএর নমুনা সংগ্রহে চুল, রক্ত ও লালা নেওয়া হচ্ছে স্বজনদের। তবে মরদেহগুলোর পরিচয় জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১ মাস। এই সময়ে মরদেহগুলো ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে মরদেহগুলো।