বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে সম্প্রতি এক মন্তব্য করে সামাজিক মাধ্যমে তোপের মুখে পড়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। জিয়া পরিবার নিয়ে তার বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছে শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, পেশাজীবীসহ ৪০ জন নারী অধিকারকর্মী।
এরইমাঝে এক অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিপালিত হয় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। সেজন্য সাধারণ জনগণসহ সবার সঙ্গেই তাদের ভাষা ও ব্যবহারে মার্জিত, শোভন ও শালীন বোধ থাকা বাঞ্ছনীয়। সেবা দেওয়া ছাড়া তারা কারও সঙ্গেই কোনো অশোভন আচরণ করার অধিকার রাখেন না। এটা আমার কথা নয়, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা।
জামালপুর সার্কিট হাউজে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে রোববার (৫ ডিসেম্বর) প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন
এদিকে, জিয়া পরিবারকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বক্তব্যের জন্য প্রতিমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে মুরাদ হাসানের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তার (তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান) ব্যক্তিগত বক্তব্য হতে পারে। এটা আমাদের কোনো বক্তব্য না, এটা আমাদের দলের কোনো বিষয় না। কেন এ বক্তব্য তিনি দিয়েছেন জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।