সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেপালের সরকার ও জনগণ আমাদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছে। নেপাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী বিশ্বের সপ্তম দেশ। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনও অত্যন্ত দৃঢ়। সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তির আওতায় দু’দেশের মধ্যে নিয়মিত সাংস্কৃতিক বিনিময় পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের পর্যটকদের প্রথম পছন্দ হিমালয়কন্যা নেপাল। সবমিলিয়ে নেপাল বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস ও নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির যৌথ আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী (১৪-১৮ মার্চ) ‘বাংলাদেশ-নেপাল আর্ট এন্ড কালচার ফেস্টিভ্যাল ২০২৩’ এর দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, হিমালয় হতে আগত জলরাশি কেবল আমাদের নদনদীর দু’কূল ছাপিয়ে বিস্তীর্ণ জনপদকে ভাসিয়ে দেয় না, একইসঙ্গে তা আমাদের ফসলি জমিতে পলি সঞ্চয় করে উর্বর করেও তোলে। তাই নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আত্মিক, বৈষয়িক একইসঙ্গে প্রাকৃতিকও। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল একে অপরের দুর্যোগে সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুত্বের এটি একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আর পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সম্পর্কোন্নয়নের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিনিময়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, নেপালের পোখারা একাডেমির চ্যান্সেলর পদ্মরাজ ঢাকাল এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি লায়ন মশিউর আহমেদ।