English

21 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

নির্বাচন না করার ঘোষণা অলির

- Advertisements -

সংসদ নির্বাচনে আর কখনো অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর ইউনিয়নের বণিকপাড়া পূজামণ্ডপে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকেদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন তিনি।

এ সময় অলি আহমদ তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার আংশিক) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিকে পরিচয় করিয়ে দেন। সানি এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য।

অলি আহমদ বণিকপাড়া ছাড়াও উপজেলার যেসব মণ্ডপে যান, সেখানে ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেন। উপস্থিতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আর নির্বাচন করব না, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। সে আমেরিকা-লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। তাকে আপনাদের জন্যই গড়ে তুলেছি। সে ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তার স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য অলি আহমদ দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে গঠন করেন এলডিপি।

ছেলেকে দেখিয়ে অলি আহমদ বলেন, সে (ছেলে) আপনাদের খেদমত করবে। আমিও যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের ছেড়ে যাব না। সঠিক সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উত্তম। এর মধ্যে সে ভুল করলে আমি ঠিক করে দিতে পারব। সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার দায়িত্ব আমি আমার ছেলের ওপর অর্পণ করলাম।

আপনারা আমার ছেলের দায়িত্ব নিতে পারবেন কি না– প্রশ্ন রেখে উপস্থিতদের হাত তুলতে বলেন অলি আহমদ। উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আমি এ এলাকায় আসিনি। কারণ আমি এলে, যারা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত, তাদের তৎকালীন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাত। নেতাকর্মীদের আমি বিপদে ফেলতে চাইনি।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এলডিপি সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে এবং শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে। সে সময় আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শোনায় আওয়ামী লীগ, এসব কি মানা যায়?

তিনি বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। সর্বপ্রথম স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য আমাকে বলা হয়েছিল। তখন মেজর জিয়াউর রহমান আমার সিনিয়র ছিলেন। এজন্য আমিই তাকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার অনুরোধ করি। তার প্রমাণ আমার কাছে এখনও আছে, চাইলে দেখতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এখন কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে, তাকে আইনের হাতে তুলে দেবেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমি, আমার ছেলে ও এলডিপির নেতাকর্মীদের পাশে পাবেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, সহ-সভাপতি এ জি এম শাহজাহান, সাতকানিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, চন্দনাইশ পৌরসভার সভাপতি আইনুল কবির, উত্তর সাতকানিয়ার সাধারণ সম্পাদক হোসাইন উদ্দিন ভুট্টো প্রমুখ।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন