কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার পাগল হইছে। কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নের জামানত হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। আর উপজেলা পরিষদ হলো পাঁচ নম্বর স্তর সেই নির্বাচনের জামানত হলো এক লাখ টাকা। ছেলেকে বড় বানাইছে আর বাবাকে ছোট বানাইছে। যা খুশি তাই করতেছে।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা ভোটে দাঁড়াইছে এটা ঠিক। কিন্তু আওয়ামী লীগ ভোটে দাঁড়ায় নাই। তাই এই নির্বাচনে চুরি করার আর রাস্তা নাই। শেখ হাসিনা ভোট চুরি চায় না। তাহলে চুরিটা করবে কারা?’
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের ঘাটেশ্বরী এলাকার স্থানীয় মাদ্রাসা মাঠে গামছা প্রতীকের এক পথ সভায় এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনোনীত প্রার্থীর এ পথ সভায় মো. আফাজ মেম্বারের সভাপতিত্বে তিনি আরও বলেন, ‘আজকাল বেনজীর বলে এক লোকের নাম শোনা যায়, দুনিয়ায় তার হায়রে হায় পাওয়ার। এখন সে শুয়ে পড়ছে। আমার জীবনে আমি দেখলাম, যে মানুষ অন্যায় করেছে দুইদিন আগে হোক পরে হোক তার অপমানিত হতেই হয়েছে। এত টাকা পয়সা সব কিছু এখন জব্দ।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘কালিহাতিতে বড় ভাইকে এমপি বানাইছি, ছোট ভাইকে চেয়ারম্যান বানাইছি। আমি না হয় পাশ করবার পারি নাই তারপরও আমি ওদের চেয়ে অনেক ভালো আছি। এই রকম ভাঙা পার্লামেন্টে যাওয়ার চেয়ে বাইরে থেকে আমি ওদের মুগুর দিয়ে মাঝে মাঝে সোজা করবো।’
এ সময় আরও বক্তৃতা করেন কালিহাতি উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সানোয়ার হোসেন সজীব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা আসলাম সিকদার নোভেল, যুব আন্দোলনের নেতা জাহিদ হাসান প্রমুখ।