সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমরা বাঙালি, এটা আমাদের মীমাংসিত বিষয়। তবে কেন আমাদের টিপ নিয়ে, আমাদের পোশাক নিয়ে আপত্তি তোলা হবে। কর্মজীবী নারীদের পথচলায় নানাভাবে বাঁধা তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করে নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য এই প্রবণতা ও মানসিকতাকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, নিজের অধিকার আদায়ের জন্যই এই প্রতিরোধ জরুরি। কারণ আজকে আপনার টিপ আর শাড়ির প্রতি আঘাত আসছে, কালকে আপনাকে ঘরবন্দী করে দেবে, পড়াশোনা বন্ধ করে দেবে। আপনার দক্ষতা ও কাজের স্পৃহা সব বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার শ্বাস নেওয়াও বন্ধ করে দেবে এরা। কাজেই এ ধরনের মনোভাবকে প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করতে চাওয়ায় অতীতে ‘খনা’কেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তার জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা অতীত থেকেই চলে আসছে। নারীদের পথচলা আগে থেকেই কঠিন।
মন্ত্রী বলেন, প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী বিবি খাদিজা একজন নারী। ইসলামের জন্য প্রথম যিনি প্রাণ দিয়েছিলেন, তিনিও একজন নারী। ইসলামে নারীরা ব্যবসা করেছেন, যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু ১৪০০ বছর পরে এসে, ধর্মের ভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ধর্মের মূল নীতি এটা হতে পারে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ও হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি, হেলভেটাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বেন ব্লুমেনথাল প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি নিগার সুলতানা কেয়া।