বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্রের পরিবর্তে, মুক্তচিন্তার পরিবর্তে দেশে আজ গুম-খুন আর বিচারবহির্ভূত হত্যা চলছে। দেশে চারদিকে লাশের গন্ধ আর হাহাকার চলছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। কেবল একটি দায়িত্বহীন সরকার থাকলেই এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। সরকারের মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলছেন, কাজের কাজ কিছুই করছেন না।
আজ বুধবার দুপুরে কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ থানা বিএনপির উদ্যোগে ‘করোনা হেল্প সেল’ সেন্টার থেকে চিকিৎসা ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকার বলছে পালাক্রমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলে দেবে। কিন্তু স্কুল আর কলেজ খোলা যাবে না। আমরা দেখেছি উইরোপে স্কুল ও কলেজ খুলে দিয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা দিয়ে। যাতে তাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস না হয়, সেটি তারা আগে করছে। কিন্তু আমাদের সরকার সেটি করছে না।
তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন- একে একে সব খুলে দিচ্ছি। শিল্প কলকারখানা, গণপরিবহন, মার্কেটসহ সব খুলে দিচ্ছে। কিন্তু স্কুল-কলেজগুলো খুলে দেবেন না। আমরা দেখতে পেলাম ইউরোপে স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিয়ে। ছেলেদের জীবন ধ্বংস করে নাই। অথচ আমাদের সরকার স্কুল-কলেজ খুলে দিচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, অথর্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ন্যূনতম করোনা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন- ‘আমার করার কিছু নেই’। অথচ বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠী অক্সিজেন কন্টেন্ট দিয়েছে যা বিমানবন্দরে পড়ে আছে। আজকে পথে-ঘাটে, ধানক্ষেতে মানুষের লাশ পড়ে আছে। শুধু চারদিকে লাশের গন্ধ আর হাহাকার চলছে।
তিনি বলেন, আমরা বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আজকে কেউ বসে নেই। এতো আতঙ্কের মধ্যেও আমাদের কোনও নেতাকর্মী বসে নেই।
কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণের সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন মাস্টার, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, কেরাণীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।