সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা: দীপু মনি এমপি বলেছেন, দেশের চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। অনেক ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে।
আজ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উৎসব কমিটির সদস্য গবেষক মফিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ।
মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, জীবনধারা ফোটে উঠে। সরকার দেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। আমাদের দেশে কালজয়ী চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের কারনে দেশের চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরে এসেছে। চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত আরও উজ্জলতর হবে বলে মন্ত্রী আশা পোষণ করেন।
এ সময় দ্বাবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে দীপু মনি বলেন, এত দীর্ঘ সময় ধরে একটি উৎসব চালিয়ে নেওয়া অসাধারণ একটি কাজ। এটা একটা বিরাট সাফল্য।
আর আমাদের যারা চলচ্চিত্র তৈরি করেন, তাদের জন্যও এটি একটি বড় সম্ভাবনা ও সুযোগের জায়গা। যারা চলচ্চিত্র দেখেন, পছন্দ করেন, তাদের জন্যও বড় সুযোগ।
তারা নিজেদের ছবিসহ অন্যান্য অনেক দেশেরও ছবি দেখার সুযোগ পাবে। একটা ভালো সিনেমা দেখা মানে একটা দারুণ ব্যাপার।
আর এমন উৎসবের মধ্য দিয়েই তো আমাদের চলচ্চিত্র আরও ভালো হবে। আমাদের অনেক ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে এবং আরও হবে বলে আমি আশা করি।
চলচ্চিত্রের উন্নয়নে মন্ত্রীর ভূমিকা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করা সম্ভব হলে অবশ্যই ভূমিকা রাখবো।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি যে জায়গাটির দায়িত্বে আছি, সেখান থেকে একেবারে সরাসরি চলচ্চিত্রের সঙ্গে যে যোগাযোগ, সেটি নেই। কিন্তু সমাজের কাজ করতে গিয়ে সেটা চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েও বিশাল আকারে করা যায়। আমাদের চলচ্চিত্রকার যারা আছেন, তারা সবসময়ই সেটি করে আসছেন। আশা করি, আমাদের চলচ্চিত্র আরও এগোবে এবং এর উন্নয়নে যদি আমাদের কোনো ভূমিকা থাকে তা আমরা নিশ্চয় করবো।
পরে মন্ত্রী চলচ্চিত্র উৎসবের ওয়াইড এংগেল এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে চলছে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। এটি ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে উৎসবের দ্বাদশ আসর। এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোসপেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম, উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৭৪ দেশের ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর সবগুলোই বিনামূল্যে বড় পর্দায় দেখা যাবে।