গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশের স্বার্থে জনগণ ঝুঁকি নিতে দ্বিধাবোধ করে না। তারা দেশের প্রশ্নে বার-বার এগিয়ে এসেছে এবং বিজয় অর্জন করেছে। তরুণ প্রজন্মসহ দেশের জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখেন, তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পিছুপা হবে না।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ড. কামাল হোসেনের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জন্মউৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সংবিধান প্রনেতা বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগে জাতীয় স্বার্থকে রক্ষা করেছি, যা এখনো চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষদের মধ্যে ঐক্য সুসংহত করে আমরা যেনো সুশাসন ও গণতন্ত্র কায়েম করতে পারি, সেই কাজে আমরা আছি এবং থাকবো।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ প্রমাণ করেছে একবার না বহুবার, জনগণ দেশের স্বার্থে যখন কোন প্রশ্ন ওঠে, তাদের ঐক্য তারা ধরে রাখে। যেকোনো ঝুঁকি নিতে তারা দ্বিধাবোধ করে না, এগিয়ে আসে।
দেশের রাজনীতিবিদদের প্রতি ইঙ্গিত করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখেন, নতুন প্রজন্মের ওপরে বিশ্বাস রাখেন, যারা কোনোদিন এসব (গণতন্ত্র) ব্যাপারে পিছুপা হয়নি। হবেও না। আমাদের এই দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী দিনে একটি শান্তিপূর্ণ, অর্থপূর্ণ ও আপসহীনভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবো। দেশে যেন একটা স্থায়ী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরিফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘একটা অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘ সময় থাকলে জবাবদিহিতা থাকে না। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। দেশে একটা গণতান্ত্রিক প্লাটফর্ম তৈরীতে গণফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে গোয়েন্দা সংস্থার নগ্ন হস্তক্ষেপ হচ্ছে। ৯০ দশকে কিছুটা কম ছিল। তারপর আবার বেড়েছে। এদের হস্তক্ষেপ বন্ধ না করতে পারলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না।’
এসময় গণফোরামের সভাপতি আলতাফ হোসেন, গণতন্ত্রের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম গড়ে তোলার আহবান জানান।
সভায় আরো বক্তব্য দেন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশিদ ফিরোজ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।